তারা দেখেছিলেন যে, প্রতিটি আলাদা ছবিতে অংশগ্রহনকারীদের ব্রেণ আলাদাভাবে সাড়া দিয়েছিল। কম্পিউটার প্রত্যেকের ব্রেণের প্রতিক্রিয়া সঠিকভাবে সনাক্ত করতে সক্ষম ছিল।
‘যখন তুমি এই ধরনের শতশত ছবি নিবে, যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি প্রত্যেকটি ছবি সম্পর্কে আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়া অনুভাব করে, তখন তুমি নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করতে পারবে যে, কোন ব্যক্তি ছবিগুলোকে ব্রেণের সক্রিয়তার সাথে দেখছে।’-এমনটাই জানালেন লেজলো।
তাদের আসল গবেষণা যেটা ২০১৫ সালে নিউরোকম্পিউটিং এ প্রকাশিত হয়েছিল, সেই গবেষণায় গবেষকদল ৩২ জন লোকের দলের মধ্যে থেকে একজনের প্রতিক্রিয়া ৯৭ ভাগ নিশ্চয়তার সাথে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ঐ গবেষণাটি ছিল ছবি দিয়ে, কোন শব্দ দিয়ে নয়।
৯৭ ভাগ থেকে ১০০ ভাগ নিশ্চিত হওয়াটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। কারণ, আমরা উচ্চ নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য এই প্রযুক্তিটির কথা কল্পনা করেছি। উদাহারণস্বরূপ-পেন্টাগন এবং নিউক্লিয়ার লঞ্চ উপসাগরের মধ্যে দিয়ে যে ব্যক্তি যাচ্ছে,সেই ব্যক্তিটি সঠিক ব্যক্তি সেটা নিশ্চিত করা। তুমি এটার জন্য ৯৭ ভাগ নিশ্চিত হতে চাইবে না, বরং তুমি ১০০ ভাগ নিশ্চিত হতে চাইবে।
লেসলোর মতানুযায়ী-যদি কারো আঙ্গুলের ছাপ চুরি হয়ে যায়, সে নতুন কোন হাতের ছাপ তৈরি করতে পারে না। কেননা আঙ্গুলের ছাপ অপরিবর্তনশীল। অপরপক্ষে, ব্রেণপ্রিন্ট পরিবর্তনযোগ্য। যে কেউ চাইলেই তার চিন্তাধারা পুনঃস্থাপন করতে পারে।
জিনপেং জিন বিংহামটোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক এবং কম্পিউটার প্রকৌশলের সহকারী অধ্যাপক এটাকে উচ্চনিরাপত্তা বিষয়ক অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে দেখছেন।
‘আমরা এই অ্যপ্লিকেশনটাকে উচ্চনিরাপত্তায় শারীরিক অবস্থান নির্নয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে চাই। যেমন-পেন্টাগন, বিমান বাহিনীর ল্যাব, যেখানে অনেক বেশিই ব্যবহারকারী এটাকে ব্যবহার করবে না। যারা এটাকে ব্যবহার করবে তাদেরকে অবশ্যই তাদের মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার থেকে অ্যপ্লিকেশনটি ব্যবহারের জন্য রেজিস্ট্রেশন করে অনুমোদনপ্রাপ্ত হতে হবে।
তথ্যগুলো সংগৃহীত হয়েছে বিংহামটোন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদানকৃত তথ্য থেকে।
মারাত্মক বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভাই।
ReplyDeleteএই রকম আর তথ্য আছে এখানে https://www.youtube.com/watch?v=XLAfjSfvB3s